আশুলিয়ায় আইনের ছাত্রীকে অপহরণ করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা আইনের ছাত্রের!
আশুলিয়ার সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক হিন্দু ছাত্রীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে মুসলমান ছাত্রের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় একই বিভাগের ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে সত্যতার প্রমাণ পেয়ে মামলাটি গ্রহণ করে।
এ ঘটনায় একই বিভাগের ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে সত্যতার প্রমাণ পেয়ে মামলাটি গ্রহণ করে।
এ ঘটনায় একই বিভাগের ছাত্র নুর হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে সত্যতার প্রমাণ পেয়ে মামলাটি গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি হিন্দু পরিবারের একজন মেয়ে। গত ৫/৬ মাস যাবৎ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের ছাত্র আশুলিয়ার গোরাট এলাকার ইমান আলীর ছেলে নুর হোসেন বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছে। এমনকি মোবাইলের মাধ্যমে ম্যাসেজ দিয়ে জানায়, তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকেসহ তার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে তারা নুর হোসেনের অভিভাবকদের অবহিত করেন। এতে নুর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আরও বেশি উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে নুর হোসেন ও তার পূর্ব পরিচিত গোরাট এলাকার মিল্টন (২২) একটি প্রাইভেটকার করে জোরপূর্বক তুলে থানা যুবলীগ নেতা গোরাটের আরিফ মাদবরের অফিসে নিয়ে যায়।
এরপর দুপুর সোয়া দুইটার দিকে আরিফ মাদবরের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় জোরপূর্বক বিয়ে করার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হওয়ায় নুর হোসেন তাকে মারধর করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও ভয়ভীতি দেখায়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অন্য একটি প্রাইভেটকার করে ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী নরসিংহপুর বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এদিকে ঘটনার পর থেকে নুর হোসেন প্রতিনিয়ত ফোন ও মেসেজ দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখায়।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রীতি ঘোষ নীলিমা নামের একটি ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেসেজ ও তার ছবি এডিটিং করে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে। এছাড়া ওই আইডিতে একটি পিস্তলের ছবি দিয়ে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিনুল কাদির বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারায় মামলা হয়েছে।
No comments